প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল অধ্যাবসায় এবং ধৈর্যধারণ করা
BY
Nadim Majid
সাবরিনা রশীদ গ্রাজুয়েশন করেছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি সম্পদ কৌশল বিভাগ থেকে। মাস্টার্স করেছেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টার সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে। তার মাস্টার্স জীবনের গল্প এবং নতুনদের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরেছেন আজকের সাক্ষাৎকারে।
ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টায় আপনি কত শতাংশ ফান্ডিং পেয়েছিলেন?
সাবরিনা রশীদ: আমি মাস্টার্স প্রোগ্রামে শতভাগ ফান্ডিং পেয়েছিলাম। পাশাপাশি রিসার্চ অ্যাসিসটেন্ট এবং টিচিং অ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
আপনি কখন থেকে মাস্টার্সের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছিলেন? প্রস্তুতিপর্বে আপনার দিক থেকে চ্যালেঞ্জ কি কি ছিল?
সাবরিনা রশীদ: বুয়েটে আন্ডারগ্রাজুয়েশন করার সময় উচ্চশিক্ষা নেয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমি বুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলাম। সে সময় বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুকদের নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করতাম। তাই, বিদেশে উচ্চাশিক্ষা নেয়ার ব্যাপারে আমার প্রাথমিক ধারণা ছিল এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে, তার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ছিল। সে হিসেবে আমার প্রোফাইলকে আরো উন্নত করেছিলাম।
আমি গ্রাজুয়েশন করার পরে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষকতার সুযোগ পাই। আমি সেখানে যোগদান করার পরে বিদেশে মাস্টার্সের আবেদন করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করি। সে সময় আমার জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল অধ্যাবসায় এবং ধৈর্যধারণ করা। কারণ, আইইএলটিএস এবং জিআরইয়ের প্রস্তুতি, সুপারভাইজরদের ইমেইল করা এবং আবেদন প্রক্রিয়াসহ পুরো পদ্ধতি ছিল সময়সাপেক্ষ। সে সময় আমি মাঝেমাঝে হতাশ হয়ে পড়তাম। এক্ষেত্রে হাল ছেড়ে না দেয়ার মানসিকতা থাকা খুবই জরুরি।
দেশে গ্রাজুয়েশন করে বাইরের দেশে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন করার জন্য একজন শিক্ষার্থীর কি কি প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন?
সাবরিনা রশীদ: আমি দুইটি বিষয়ে পরামর্শ দিবো। উচচ্চশিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ওয়েবিনার / সেমিনারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়েছিল এমন ব্যক্তিদের সাথে কার্যকর নেটওয়ার্কিং করা। উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর পেতে এবং নলেজ গ্যাপ কমাতে পরামর্শ দুইটি কাজে লাগবে। তারপর প্রোফাইল সমৃদ্ধ করার বিষয়ে কাজ করতে হবে। যেমন, যদি আপনার সিজিপিএ যদি গড়মানের হয়ে থাকে, তাহলে আপনি প্রকাশনায় জোর দিতে পারেন এবং আপনার প্রোফাইল সমৃদ্ধ করতে পারেন।
পোস্ট-গ্রাজুয়েশন করার সময় একজন শিক্ষার্থী কি কি সমস্যায় পড়তে পারে?
সাবরিনা রশীদ: বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে। যে সব শিক্ষার্থী ফুল স্কলারশিপ অথবা ফান্ডিং পাবে না, তারা আর্থিক বিষয়ে চাপে থাকতে পারে। আমি দেখেছি, শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের হতাশা থাকলে তা তাদের পড়াশোনায় চাপ সৃষ্টি করে থাকে। এক্ষেত্রে, একটি ফ্রেন্ড সার্কেল এবং কমিউনিটি তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ যেন নিজের চাপের কথা বলতে পারে এবং সমাধান খুঁজতে পারে।
আপনার মাস্টার্সজীবনের সুন্দর একটি স্মৃতি সম্পর্কে বলুন?
সাবরিনা রশীদ: একাডেমিক্যালি, আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের মাস্টার্স শেষ করার সম্ভাব্য সময় ছিল ২-৩ বছর। আমি সম্ভাব্য সময়ের (এক বছর ৯ মাস) আগেই দুইটি জার্নাল এবং দুইটি কনফারেন্স পেপারসহ মাস্টার্স ডিফেন্ড করেছি। আমার সুপারভাইজর ছিল খুবই আন্তরিক এবং আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছেন। পাশাপাশি, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিজে সর্বোচ্চভাবে সক্রিয় ছিলাম। আমি ইনস্টিটিউট অব ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারস (আইটিই) ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা স্টুডেন্ট চাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ছিলাম। পাশাপাশি গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএ) এবং ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএ)’র সাথে যুক্ত ছিলাম। ফলশ্রুতিতে তাদের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেয়ার দারুন অভিজ্ঞতা হয়েছিল এবং কানাডায় আমি এবং আমার কমিউনিটিকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছিলাম। শেষ কিন্তু সর্বশেষ নয়, আমি আমার বন্ধুদের সাথে কয়েকটি দারুন ট্রিপ দিয়েছিলাম যা আমার কাছে সারাজীবনের স্মৃতি হিসেবে থাকবে।
তরুণদেরকে সাপ্তাহিক ইমেইলের মাধ্যমে ক্যারিয়ারভিত্তিক বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছে দেশ ক্যারিয়ার। আপনিও www.deshcareer.com ঠিকানায় ইমেইল পাঠিয়ে সাবস্ক্রাইবার হয়ে নিতে পারেন।
POST A COMMENT
OTHER POSTS OF সাক্ষাৎকার CATEGORY
Copyright © 2023
By Bangla Puzzle Limited
To comment in this Blog, SignIn with Google