Saturday, January 27th 2024
যারা ভারতীয় ক্রিকেটের সাথে পরিচিত বিশেষ করে কোহলির ফ্যান তারা বাশু শঙ্করকে চিনবেন। তিনি ছিলেন বিরাট কোহলির ফিটনেস ট্রেইনার। বিশ্বজুড়ে ফিটনেস ট্রেইনাররা আলাদাভাবে তারকাখ্যাতি অর্জন করেছেন। এক সময় সিনেমার নায়ক নায়িকা ও খেলাধুলার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরাই ফিটনেস ট্রেইনারের দ্বারস্থ হতেন।
সময়ের সাথে সাথে মানুষ শরীর সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হয়েছে। ফিটনেস সচেতনতা থেকেই অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে জিম। ২০২৩ সালে ফিটনেস ট্রেইনারের আন্তর্জাতিক মার্কেট ভ্যালু ছিল ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
ফিটনেস ট্রেইনার কি করে
ফিটনেস ট্রেইনার কোনো গ্রুপের সাথে কথা বলে তাদের ক্যারিয়ারের গোলের সাথে তাদের ফিটনেস গোল কেমন হবে সেটি নির্ধারণ করে। এক বা একাধিক ব্যক্তিকে লম্বা সময় ধরে ট্রেইন করার মাধ্যমে তাদের ফিজিক্যাল প্রগ্রেস ট্র্যাক করে। জিমে থাকা ফিটনেস ইকুইপমেন্টগুলো ক্লায়েন্টরা কিভাবে ব্যবহার করবে সেটিও দেখাশোনা করে ফিটনেস ট্রেইনার।
যারা স্পেশালাইজড ফিল্ডে কাজ করেন তারা ইনজুরি রিকভারি, ওজন কমানো, ফিটনেস গোল, নিউট্রিশনের দিকগুলোও দেখে থাকেন।
ফিটনেস ট্রেইনাররা শুধু ক্লায়েন্টের ফিজিক্যাল স্বাস্থ্য নিয়েই কাজ করেন তা নয় তারা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও কাজ করে থাকেন। অ্যাথলেটদের প্রতিযোগীতার উপযোগী করে তোলার মানসিকতা তৈরির কাজেও ভূমিকা রাখেন।
এছাড়াও কিভাবে অনুশীলন হবে, ডায়েট চার্ট তৈরি ও কন্ট্রোল করা, শরীরের গঠনের ভিত্তিতে ব্যায়াম কেমন হবে সেটিও ঠিক করে দেন তারা।
কাজের ভিত্তিতে ফিটনেস ট্রেইনারকে গ্রুপ ফিটনেস ট্রেইনার, স্পেশালিষ্ট ফিটনেস ট্রেইনার ও পার্সোনাল ট্রেইনার এ তিনভাবে ভাগ করা যায়।
গ্রুপ ফিটনেস ট্রেইনাররা বড় কোন দলকে ট্রেনিং দিয়ে থাকেন। নির্দিষ্ট কোনো ব্যায়ামের ট্রেনিং দিয়ে থাকেন স্পেশালিস্ট ট্রেইনাররা। আর পার্সোনাল ট্রেইনাররা কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি ক্লায়েন্টকে ট্রেইন করে থাকেন।
ফিটনেস ট্রেইনার হওয়ার যোগ্যতা
ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে ভাল করার জন্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশি দরকার না হলেও বিশেষায়িত ট্রেইনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইচএসসি পাস ডিগ্রী থাকলেই ফিটনেস ট্রেনিং নেওয়া যাবে।
এক্ষেত্রে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ (এনাটমি), পুষ্টি, এক্সারসাইস সাইন্স, ডায়েট সম্পর্কে শেখার পাশপাশি প্র্যাকটিকাল জ্ঞানও থাকতে হবে। এছাড়াও যোগাযোগ, কাস্টমার সার্ভিস, মোটিভেট করার ক্ষমতা থাকা জরুরী।
ফিটনেস ট্রেইনারের বেতন
প্রতিষ্টান ও কাজের ধরন ভেদে ফিটনেস ট্রেইনারের বেতন বিভিন্ন রকম হতে পারে। খুব ভাল ট্রেইনার হলে মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকাও আয় করা সম্ভব। ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে পার্টটাইম বা চুক্তিভিত্তিক কাজও করা যায়। সেক্ষেত্রে বেতন পাঁচ হাজার থেকে শুরু হতে পারে।
আমেরিকাতে ভাল মানের ফিটনেস ট্রেইনারের বাৎসরিক গড় বেতন ৬৬ হাজার ডলারের বেশি।
ফিটনেস ট্রেইনার হতে গেলে যেসব টুল ও স্কিল জানা জরুরী
ফিটনেস ট্রেইনারের পুষ্টি ও ডায়েট সম্পর্কে ভাল পড়াশোনা থাকতে হবে। ক্লায়েন্টের বর্তমান স্বাস্থ্য ও ফিটনেসের লেভেল বোঝার টুলগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। ওয়ার্কআউট করার গিয়ারগুলো যেমন ব্যান্ড, ডাম্বল পরিচালনা জানতে হবে। ইমার্জেন্সী ফার্স্ট এইড কিড দিয়ে কিভাবে কোন বিপজ্জনক পরিস্থিতি সামলোনো যায় সেটিও শিখে রাখতে হবে।
এছাড়াও ফিটনেস এপ ও সফটওয়ার, নিউট্রিশন ও হেলথ এপস সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে।
চাকরি কোথায় পাওয়া যাবে
ফিটনেস ট্রেইনাররা সাধারণত জিমনেশিয়ামে কাজ করে থাকেন। এছাড়াও স্কুলে ও বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাবে ফিটনেস ট্রেইনারের দরকার হয়।
বাংলাদেশে প্রচুর জিম তেরি হয়েছে। সেসব প্রতিষ্টানে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কাজের সুযোগ আছে। সেখানে জুনিয়র ফিটনেস ট্রেইনার বা সহকারী ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে কাজ শুরু করে কয়েক বছর অভিজ্ঞতা অর্জন করলে ভাল কোনো কোম্পানিতে আবেদন করতে পারবেন।
কোথায় শিখব
বাংলাদেশে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেক ফিটনেস ট্রেইনার কোচিং করিয়ে থাকেন। অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলেও পার্সেনাল ফিটনেস নামে একটি ্রট্রেনিং আছে। এছাড়াও ইউডেমিতেও ফিটনেস ট্রেনিং শেখার কোর্স আছে।
ফিটনেস ট্রেইনাও হওয়ার জন্যে কোনো একজন মেন্টরের অধীনে কাজ শুরু করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা সবচেয়ে বেশি জরুরী।
OTHER POSTS OF পরিচিতি CATEGORY
To comment in this Blog, SignIn with Google