পেশা পরিচিতি: ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
BY
Roby Hossain
কোভিড চলাকালীন সময়ে ওয়ার্ক ফর্ম হোম এই কথাটার সাথে আমরা পরিচিত হয়েছিলাম। বাংলাদেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি কিছু তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা চালু করেছিল। অফিসে না থেকেও অফিসের কাজকর্ম যে করা যায় এটা আর নতুন কিছু না।
ঘরে বসেই কোন কোম্পানির কাজকর্মে যে বা যারা সহযোগিতা করে তাদের বলা হয় ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট।
ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট কি
ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট এটি নির্দিষ্ট কোন স্কিলের নাম না। ধরা যাক কোন প্রতিষ্টানে কয়েকজন কর্মী কাজ জমা দিয়েছে এক্সেল ফাইলে। আপনি সেগুলো ঘরে বসে চেক করে দিলেন। কোন কোম্পানির জন্যে তৈরি করা মিউজিক ভিডিওগুলো নির্দিষ্ট সময়ে পাবলিশ করে দিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলো ম্যানেজ করলেন। এভাবে আরো নানা ধরনের কাজই ভার্চুয়াল এসিট্যান্টরা করে থাকে।
কোম্পানিগুলো ভার্চুয়াল এসিট্যান্টদের সাথে বিভিন্ন টুলের মাধমে কাজকর্মগুলো করিয়ে নেয়। এতে কোম্পানির লাভ কোন অফিস ভাড়া না নিয়ে বাড়তি খরচ না করেই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলা থেকে তুলনামূলক কম বেতনে সে তার কাজ করিয়ে নিতে পারে।
ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট জবে কি করতে হয়
ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট জব কেমন হবে তা নির্ভর করছে কোম্পানি কি ধরনের কাজ করছে তার উপর। হতে পারে কোন কোম্পানির ইমেইল ম্যানেজম্যান্টের জন্যে ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট প্রয়োজন। যেসব কোম্পনি অনেক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করছে তাদের এপয়েন্টমেন্ট শিডউল করার কাজ থাকে। এভাবে বলা যায় কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, আইটি সাপোর্টসহ ইকমার্সের ক্ষেত্রে অর্ডার রিসিভ করা ও কাস্টমার সাপোর্ট দেওয়ার কাজেও ভার্চুয়াল এসিট্যান্টের প্রয়োজন হয়।
ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট হওয়ার যোগ্যতা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট হওয়ার জন্যে হাইস্কুল ডিগ্রীই যথেষ্ট। তবে যদি স্পেসেফিক ফিল্ড হয় যেমন ব্যবসা, যোগাযোগ ও মার্কেটিং তাহলে বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ থাকে।
তবে সহজ কথায় বললে বর্তমানে আপনার যে কোন সফট স্কিল থাকলেই সেটি বিক্রি করতে পারবেন। যদি আপনার দক্ষতা থাকে সেক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কোন বড় সমস্যা না।
ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট হবেন কিভাবে
ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট হওয়ার জন্যে স্পেসেফিক কোন কোর্স নেই। বরং নানা রকম জিনিস শেখা ও জানার মাধ্যমেই আপনি ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট হয়ে উঠতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার কোন ফিল্ডে আগ্রহ সেটা খুঁজে বের করতে পারলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হয়।
যেমন আপনি যদি এডমিনসট্রেটিভ কাজগুলো করতে পছন্দ করেন তাহলে এই রিলেটেড সফটওয়ারগুলোর কাজ শিখে নিলেন। কিছু প্রজেক্ট করে রাখলেন যাতে কোম্পানিকে নিয়োগের সময় দেখানো যায়।
এই কাজে ভাল করার জন্যে সফট স্কিলের পাশাপাশি কমিউনিকেশনে ও টাইম ম্যানেজম্যান্টে দক্ষ হতে হয়।
মাইক্রোসফট অফিস সুইট, ট্রেলো, স্ল্যাক, ক্যানভা, বাফারসহ অনেক সিমিলার টুলের কাজ শিখে রাখা যেতে পারে। এইসব টুুলের কোর্স ফিতেই ইউটিউবে পাওয়া যায়।
কাজ পাবেন কোথায়
ভার্চুয়াল এসিট্যান্টে পদে নিয়োগের জন্যে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস মেন আপওয়ার্ক, ফাইভারে বিভিন্ন কোম্পানি নিয়মিত পোস্ট করে থাকে। এর বাইরেও বর্তমানে লিংকডিন থেকে অনেক বেশি ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট হায়ার করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে আপনার লিংকডিন প্রোফাইল আপ টু ডেট থাকা জরুরী। এক্ষেত্রে যদি আপনার আগে করা কাজের কোন পোর্টফোলিও থাকে তাহলে চাকরি পাওয়া সহজ হয়।
বেতন কত
কোম্পানির সাইজ ও তার ধরন ভেদে এই কাজের বেতন নানা রকম হতে পারে। যদি আপনি ইংল্যান্ডে বসেই ইংল্যান্ডের কোন কোম্পানির কাজ ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট হিসেবে করেন তাহলে শুরতেই প্রতি ঘন্টা ১৫-২০ ডলারের বেশি দেবে। আর যাদের অনেকদিনের কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাদের ঘন্টা ৩০ ডলারের বেশিও পেমেন্ট করতে পারে।
সাধরণত একজন এক্সপার্ট ফুলটাইম ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট মাসে সর্বনিন্ম ২ হাজার ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বেতন পেতে পারে।
তবে তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে যখন ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট হায়ার করা হয় তখন সেলারির পরিমাণ এত বেশি হয় না। ঘন্টায় ৫ ডলার থেকে শুরু করে কাজভেদে ১৫ ডলারও দিয়ে থাকে।
POST A COMMENT
OTHER POSTS OF পরিচিতি CATEGORY
Copyright © 2023
By Bangla Puzzle Limited
To comment in this Blog, SignIn with Google