বাংলাদেশ-সুইডেন ট্রাস্ট ফান্ডের বৃত্তি
BY
Nadim Majid
১৯৮৪ সালে সুইডেন সরকারের অনুদানে গঠিত হয় ‘বাংলাদেশ-সুইডেন ট্রাস্ট ফান্ড’। এই ট্রাস্ট ফান্ডের মূল উদ্দেশ্য মানবসম্পদের উন্নয়ন এবং সেই লক্ষ্যে তারা উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশগামী ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক অনুদান/ট্রাভেল গ্র্যান্ট দিয়ে থাকে। তাই সময় থাকতে আপনার এয়ার টিকিটের (air ticket) জন্য ট্র্যাভেল গ্রান্টের আবেদন করে ফেলুন!
বিদেশে অধ্যয়নকারী মেধাবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এক পথের ভ্রমণ ব্যয়ের জন্য মঞ্জুরি প্রদান করবে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ-সুইডেন ট্রাস্ট ফান্ড। বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, যাঁরা ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য (স্নাতক, স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি) পূর্ণ বা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্তির মাধ্যমে বিদেশে গেছেন, তাঁরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে হবে অনলাইনে।
আবেদনকারীর যোগ্যতা:
*বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণ বা আংশিক বৃত্তি পেয়ে উচ্চতর ডিগ্রির (স্নাতক/স্নাতকোত্তর/পিএইচডি) জন্য গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে।
*এ ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় এর আগে ভ্রমণ মঞ্জুরি না পেয়ে থাকলে।
*বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনকারী দেশি বা বিদেশি অন্য কোনো উৎস থেকে ভ্রমণ মঞ্জুরি/এয়ার টিকিট না পেয়ে থাকলে।
আবেদনের পদ্ধতি
*পূর্ণ বা আংশিক বৃত্তি পেয়ে ওপরে উল্লিখিত সময়ে বিদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয়। কাগজপত্র প্রস্তুতি শেষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের http://bstf.erd.gov.bd লিংক ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
অনলাইন আবেদন ছকের নির্ধারিত স্থানে নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র আপলোড করতে হবে
* বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যু করা বৃত্তির লেটার; ওই বৃত্তির চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম, বৃত্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও তারিখ থাকতে হবে।
*বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/অন্য কোনো উৎস থেকে ভ্রমণ ব্যয় প্রদান করা হয়নি বা হবে না মর্মে সনদ।
*প্রার্থীর নাম-সংবলিত পাসপোর্টের পেজসহ বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত বিদেশ যাওয়া ও সংশ্লিষ্ট দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত দেশে আসার সিল-সংবলিত পাসপোর্ট পেজ;
*এয়ার টিকিট (বাস/ট্রেনের টিকিট শুধু ভারতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য) এবং ভ্রমণ ব্যয়ের রসিদ।
*সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও নম্বরপত্র।
*জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি/জন্মনিবন্ধন সনদ।
*বাংলাদেশ-সুইডেন ট্রাস্ট ফান্ডের ওয়েবসাইটে http://bstf.erd.gov.bd লগইন করার ক্ষেত্রে নিজস্ব ই-মেইল ব্যবহার করতে হবে।
* পাসপোর্ট সাইজের ছবি (300x300 Pixel);
* নিজ স্বাক্ষরের স্ক্যান কপি (300x80 Pixel);
কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন:
· একাডেমিক ও স্কলারশিপের সনদ/ডকুমেন্টসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট একসঙ্গে স্ক্যান করে বিএসটিএফের ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট স্থানে একটি ফাইলে আপলোড করতে হবে।
· ভ্রমণ মঞ্জুরির অর্থ উত্তোলনের জন্য প্রার্থী তাঁর নিজস্ব/বাবা/মা/ভাই/
বোন/পোষ্যর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু ত্রুটিযুক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রদান করলে তা পুনরায় সংশোধনের সুযোগ কোনো অবস্থাতেই দেওয়া হবে না।
· একই প্রার্থী একের অধিকবার আবেদন করতে পারবেন না।
· আবেদনের হার্ড কপি প্রেরণ করার প্রয়োজন নেই।
আবেদনের শেষ সময়
**২০ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় আবেদন শুরু হয়ে আগামী ১৯ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।
POST A COMMENT
OTHER POSTS OF পরিচিতি CATEGORY
Copyright © 2023
By Bangla Puzzle Limited
To comment in this Blog, SignIn with Google