বিশ্বজুড়ে এমবিএ ডিগ্রিধারীদের প্রথম বেতন
নেটওয়ার্কিং ও
নতুন দক্ষতা
বৃদ্ধির সুযোগ
এবং প্রতিষ্ঠানের
ব্যবস্থাপনা বা
নির্বাহী পর্যায়ে
কাজ করার
সুযোগ রয়েছে
বলে এমবিএ
(মাস্টার অব
বিজনেস অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন)
ডিগ্রিধারী পেশাজীবিরা
উচ্চ বেতন
পেয়ে থাকেন।
আপনি বিশ্বের
যেকোনো প্রান্তে
থাকুন না
কেন, একটি
এমবিএ প্রোগ্রাম
আপনাকে নেতৃত্বদান
ও ব্যবস্থাপনায়
চাহিদামতো দক্ষতা
শেখাবে। এই
ডিগ্রি প্রতিযোগিতামূলক
মাইনে পাওয়ার
দ্বার উন্মুক্ত
করে; হোক
সেটা আর্থিক
খাত কিংবা
প্রযুক্তি জগতের।
তাই বিশ্বের
বিজনেস স্কুলের
গ্রাজুয়েটরা এমবিএ
ডিগ্রি অর্জনের
পর কেমন
বেতন দিয়ে
ক্যারিয়ার শুরু
করতে চান
তা জানার
চেষ্টা করেছে
এমবিএ ডটকম।
দেখে নিতে
পারেন এর
টুকিটাকি।
ইউরোপ
ইউরোপে বানিজ্যিক
কেন্দ্র এবং
সাংস্কৃতিক নগরী
সমৃদ্ধ শহরগুলোর
মধ্যে লন্ডন,
প্যারিস, আমস্টারডাম,
বার্লিন, রোম,
ভিয়েনা, ব্রাসেলস,
অসলো ইত্যাদি
অন্যতম। এসব
শহরে এমবিএ
গ্রাজুয়েটদের জন্য
ক্যারিয়ার গড়া
তুলনামূলক সহজ।
তাদের বেতনও
অন্যদের তুলনায়
বেশি। শুধু
তা-ই
নয়, মহাদেশটির
আরও অনেক
শহরে নতুন
গ্রাজুয়েটদের উচ্চ
বেতন দিয়ে
নিয়োগ দেওয়া
হয়।
যেমন, ফ্রান্সের
ইনসিড শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের এমবিএ
গ্রাজুয়েটরা বার্ষিক
১ লাখ
১৩ হাজার
৭০০ ডলার
দিয়ে কর্মজীবন
শুরু করেন।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম
ফিনান্সিয়াল টাইমসের
জরিপে ইউরোপের
শীর্ষস্থানীয় উচ্চ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইনসিড।
তবে কোন
খাতে সদ্য
পাশ করা
গ্রাজুয়েটরা যোগ
দিচ্ছেন তার
ওপর নির্ভর
করে বেতনকাঠামো।
ইনসিড থেকে
পাশ করা
গ্রাডরা (গ্রাজুয়েটরা)
যদি প্রযুক্তি
খাতে যোগ
দেন, তাহলে
তাদের প্রারম্ভিক
বেতন হয়
বছরে ১
লাখ ডলার।
কনসাল্টিং এবং
আর্থিক খাতে
তার পরিমান
১ লাখ
১৭ ডলার।
করপোরেট সেবাখাতে
আরও বেশি
বেতন দিয়ে
নিয়োগ দেওয়া
হয়। এক্ষেত্রে
সদ্য গ্রাডদের
বার্ষিক বেতন
শুরু ১
লাখ ৪৫
হাজার ডলার
দিয়ে।
এবার দেখা
যাক, স্পেনের
আইইএসই বিজনেস
স্কুল থেকে
পাশ করা
এমবিএ গ্রাডরা
প্রথম চাকরিতে
কত বেতন
আশা করেন।
তারা সাধারণত
বাৎসরিক ৯৯
হাজার ডলার
দিয়ে ক্যারিয়ার
শুরু করেন।
তবে কোনো
কোনো খাতে
তাদের গড়
বেতন শুরু
হয় বার্ষিক
৭৯ হাজার
ডলার দিয়ে।
লন্ডন বিজনেস
অব স্কুলের
(এলবিএস) এমবিএ
প্রোগ্রাম থেকে
পাশ করা
গ্রাডদের গড়
বার্ষিক বেতন
শুরু হয়
১ লাখ
২৫ হাজার
ডলার দিয়ে।
তবে কিছু
খাতে তাদের
স্টার্টিং বেতন
আরও বেশি।
এলবিএসের এমবিএ
গ্রাডরা যদি
কনসাল্টিং ফার্মে
যোগ দেন,
তাদের গত
বেতন শুরু
হয় ১
লাখ ২৯
হাজার ডলার
দিয়ে। আর্থিক
খাতের বেলায়
যা ১
লাখ ৩৫
হাজার ডলার।
যুক্তরাষ্ট্র
আপনি কী
নিউ ইয়র্কের
কোলাহলপূর্ণ জমজমাট
স্থানে ক্যারিয়ার
গড়তে চান?
চাকচিক্যময় লস
অ্যাঞ্জেলসে গ্ল্যামারাস
জীবন গড়তে
আগ্রহী? তাহলে
আপনার জন্য
সুখবর। যুক্তরাষ্ট্রের
বড় শহরগুলোয়
নিয়োগদাতারা সদ্য
পাশ করা
এমবিএ ডিগ্রিধারীদের
মোটা মাইনে
দিয়ে ক্যারিয়ার
গড়া বা
প্রথম চাকরিতে
যোগ দেওয়ার
সুযোগ দিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেট
নিয়োগ দিয়ে
থাকে গ্রাজুয়েট
ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন
কাউন্সিল (জিএমএসি)।
২০২৩ সালে
তাদের এক
জরিপে দেখা
গেছে, সাম্প্রতিককালে
পাশ করা
এমবিএ গ্রাজুয়েটদের
বেতন শুরু
হয় ১
লাখ ২৫
হাজার বা
তার বেশি
বেতনের মাধ্যমে।
তবে এই
সংখ্যা খাতবিশেষে
বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়া
র্যাংকিংয়ে শীর্ষ
এমবিএ প্রোগ্রাম
সম্পন্ন করা
গ্রাজুয়েটরা আরও
বেশি বেতন
দিয়ে ক্যারিয়ার
শুরু করেন।
২০২২ সালের
হিসেবে স্ট্যানফোর্ড,
ডর্টমাউথ ও
হার্ভার্ড বিজনেস
স্কুল থেকে
পাশ করা
গ্রাডদের বেতন
১ লাখ
৭৫ হাজার
ডলার দিয়ে
শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ
ডিগ্রিতে শীর্ষস্থানে
রয়েছে এসব
প্রতিষ্ঠান।
এমবিএ গ্রাডদের
বেসিক বা
মূল বেতন
প্রতিষ্ঠানভেদে বা
শিল্পখাত অনুযায়ী
ভিন্ন হয়ে
থাকে। যেমন
প্রযুক্তিখাতে এই
ডিগ্রিধারীদের বার্ষিক
বেতন শুরু
হয় ১
লাখ ২৮
হাজার ডলারের
মাধ্যমে। ওদিকে
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো
একজন গ্রাজুয়েটকে
গড়ে ১
লাখ ৩৮
হাজার ডলার
দিয়ে ক্যারিয়ার
গড়ার সুযোগ
দেয়।
উচ্চবেতন এবং
আকর্ষনীয় বোনাস-ভাতার
কারণে অনেক
গ্রাজুয়েট কনসাল্টিং
ফার্মে ক্যারিয়ার
শুরু করেন।
এক্ষেত্রে ১
লাখ ৪০
থাকে তাদের
বার্ষিক বেতন।
তবে শীর্ষস্থানীয়
প্রতিষ্ঠানগুলোয় এই
বেতন আরও
বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩
সালে বিগ
থ্রি নামে
খ্যাত তিন
কনসাল্টিং ফার্ম
এমবিএ ডিগ্রিধারীদের
বেতন বৃদ্ধি
করেছে। তাদের
মধ্যে ম্যাককিনসে
অ্যান্ড কোম্পানি
এবং বেইন
অ্যান্ড কোম্পানি—উভয়
প্রতিষ্ঠানে বেতন
শুরু হয়
১ লাখ
৯২ হাজার
ডলারের মধ্য
দিয়ে। এর
মধ্যে বেইন
এমবিএ গ্রাডদের
বিশেষ পারফরম্যান্স
বোনাস দিয়ে
থাকে, যার
পরিমান বছরে
৬৩ হাজার
ডলার, প্রণোদনার
পরিমান ৩০
হাজার ডলার।
একই সময়
ম্যাককিনসের পারফরম্যান্স
বোনাস প্রায়
৪৫ হাজার
ডলার।
ভারত
ভারতের বাণিজ্যিক
নগরী মুম্বাই
কিংবা প্রাচীন
শহর দিল্লীতে
এমবিএ ডিগ্রিধারীদের
ক্যারিয়ার শুরু
হয় মোটা
বেতন দিয়ে।
বিশ্বে উদীয়মান
বৃহৎ অর্থনীতির
দেশটিতে লোভনীয়
অফার পাচ্ছেন
তারা।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের
দৃষ্টিতে ভারতে
এমবিএ ডিগ্রিতে
শীর্ষ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি
কুড়িয়েছে ইন্ডিয়ান
স্কুল অব
বিজনেস, যেখানে
গ্রাডরা ৪১
হাজার ডলার
দিয়ে ক্যারিয়ার
শুরু করতে
পারছেন। দেশটিতে
এই ডিগ্রিধারীদের
জন্য সবচেয়ে
বড় অফার
দিচ্ছে প্রযুক্তি
খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো।
এরপর রয়েছে
যথাক্রমে কনসাল্টিং
এবং উৎপাদনখাত।
সম্মানজনক এমবিএ
প্রোগ্রাম চালু
রয়েছে আইআইএম
আহমেদাবাদে। এখান
থেকে বের
হওয়া গ্রাডরা
৩৮ হাজার
ডলার দিয়ে
প্রথম চাকরিতে
যোগ দেওয়ার
সুযোগ পান।
তবে তাদের
তুলনায় আইআইএম
ব্যাঙ্গালুরুর গ্রাডরা
বার্ষিক গড়ে
১ হাজার
ডলার বেশি
(৩৯ হাজার
ডলার) দিয়ে
ক্যারিয়ার শুরু
করেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের
জরিপে আরেকটি
খ্যাতনামা বিজনেস
স্কুল হচ্ছে
আইআইএম ক্যালকাটা।
এখান থেকে
পাশ করা
গ্রাডরা ৩৭
হাজার ডলার
পেয়ে থাকেন।
একইভাবে আইআইএম
ইন্দোর এমবিএ
প্রোগ্রাম সম্পন্ন
করা গ্রাডরা
বর্তমানে ৩৬
হাজার ডলার
পাচ্ছেন। তবে
চলতি বছরে
এই প্রতিষ্ঠানের
একজন গ্রাজুয়েট
১ লাখ
৪০ হাজার
ডলার দিয়ে
দেশীয় একটি
প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ার
শুরু করেন।
ভারতে এমবিএ
ডিগ্রিধারীদের তুলনামূলক
কম বেতন
পাওয়ার অন্যতম
কারণ তারা
ক্যারিয়ারের শুরুতে
এমবিএ প্রোগ্রামে
ভর্তি হন।
একই সময়
যুক্তরাষ্ট্র ও
ইউরোপের শিক্ষার্থীরা
গড়ে তিন
থেকে পাঁচ
বছরের পেশাগত
অভিজ্ঞতার পর
এমবিএ প্রোগ্রামে
ভর্তি হন।
এর মানে,
ভারতের শিক্ষার্থীরা
কম বেতন
দিয়ে ক্যারিয়ার
শুরু করলেও
ক্যারিয়ারের ধাপে
ধাপে তাদের
বেতন বৃদ্ধি
পায়। যেমন,
আইআইএম আহমেদাবাদের
গ্রাডরা তিন
বছর পর
১ লাখ
৮৬ ডলার
বেতনপ্রাপ্ত হন,
যা যুক্তরাষ্ট্র
ও ইউরোপের
তুলনায় বেশি।
চীন
সাংহাইয়ের চকচকে
টাওয়ারগুলো বেশিরভাগ
ব্যবসায়ের সফলতার
দ্বার হিসেবে
খ্যাত। এ
কারণে দেশটির
এমবিএ ডিগ্রিগুলোর
কদর রয়েছে।
উচ্চ বেতন
এবং নামকরা
বিজনেস স্কুলের
কারণে অনেক
এমবিএ গ্রাজুয়েট
চীনে ক্যারিয়ার
শুরু করতে
চান।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের
জরিপে চীনে
এমবিএ গ্রোগ্রামে
শীর্ষে রয়েছে
সিইআইবিএস, যেখান
থেকে পাশ
করা গ্রাডরা
৬৭ হাজার
ডলার নিয়ে
প্রথম চাকরি
শুরু করেন।
তবে খাতগুলোর
ওপর নির্ভর
করে তাদের
বেতন। প্রযুক্তিখাতের
প্রতিষ্ঠানগুলোয় বার্ষিক
গড় বেতন
৭০ হাজার
ডলার। কনসাল্টিং
কিংবা স্বাস্থ্যসেবা
খাতে যা
১ লাখ
২৫ হাজার
ডলার।
একইভাবে ফুডান
ইউনিভার্সিটির এমবিএ
ডিগ্রি অর্জনকারী
শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি,
কনসাল্টিং ও
উৎপাদন খাতে
তুলনামূলক বেশি
ক্যারিয়ার বেতন
নিয়ে ক্যারিয়ার
শুরু করে
থাকেন। অন্যদের
যেখানে গড়
বার্ষিক বেতন
২৮ থেকে
৫৬ হাজার
ডলারের মধ্যে,
সেখানে অনেক
ফুডান গ্রাড
৮০ হাজারের
বেশি ডলার
দিয়ে ক্যারিয়ার
শুরু করেন।
পিকিং ইউনিভার্সিটি
গুয়াংহুয়া অব
ম্যানেজমেন্টে এমবিএ
ডিগ্রিধারীদের মধ্যে
যারা ২০২১
সালে পাশ
করেছেন তারা
ক্যারিয়ার শুরু
করেছেন ৫৫
হাজার থেকে
৮৩ হাজার
ডলার দিয়ে।
বর্তমানে তাদের
মধ্যে ১৪
শতাংশ গ্রাড
১ লাখ
২৫ ডলারের
বেশি বেতন
পাচ্ছেন। আর্থিক
ও প্রযুক্তি
খাতে তারা
ক্যারিয়ার গড়ছেন।
তাই বলা
যায়, ক্যারিয়ারের
লক্ষ্য অনুযায়ী
আপনিই নির্ধারণ
করুন কোথায়
এমবিএ ডিগ্রি
অর্জন করবেন।
ডিগ্রি যেখান
থেকেই নিন
না কেন,
এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
কিংবা ইউরোপে
আপনার এই
ডিগ্রি আপনার
পেশাকে যেমন
নিরাপদ রাখবে
তেমনি আর্থিক
নিশ্চয়তাও দেবে।
POST A COMMENT
OTHER POSTS OF পরিচিতি CATEGORY
Copyright © 2023
By Bangla Puzzle Limited
To comment in this Blog, SignIn with Google