Home পরামর্শ

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বানিয়ে আয় করুন

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বানিয়ে আয় করুন

12 Min read

Saturday, April 15th 2023



আপনার এক বা একাধিক ডিজিটাল স্কিল রয়েছে? আপনি ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রয়ের কথা ভাবছেন? তাহলে আপনি খুবই ভাগ্যবান। এ কাজ শুরু করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ এবং নিয়মিত কিছু পরিশ্রমের প্রয়োজন। এ কাজ করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আপনি আয় করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক কৌশল। আর  আপনি যদি সঠিক কৌশল মেনে না চলে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বানিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে আপনি দুর্যোগের পথে হাঁটবেন। 

কারণ, ডিজিটাল প্রোডাক্টস তৈরি করতে প্রচুর সময় এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। তাই, শুধু ডিজিটাল প্রোডাক্টস তৈরি করলেই হবে না, আপনাকে পরিকল্পনা করে বিক্রয়ও করতে হবে। না হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, লেখক বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের কথা-ই সত্য হবে, “আপনি যদি পরিকল্পনা কতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনি ব্যর্থ হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে ফেলেছেন।”

তাহলে আপনার পরিকল্পনায় থাকতে পারে, আপনার কি ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্ট  বিক্রি করা উচিত?  আপনার ব্যয় করা সময় ও শক্তি থেকে কিভাবে অন্যের উপকৃত হবে, তারও একটি পরিকল্পনা থাকা উচিত নয় কি?  


এ লেখায় থাকবে আপনি কিভাবে ডিজিটাল প্রোডাক্টস নিয়ে ব্রেইনস্টর্মিং করার গাইডলাইন এবং তৈরিকৃত প্রোডাক্টসের বিক্রয়ের দারুন কিছু উপায়। 


ডিজিটাল প্রোডাক্ট কি? 

ডিজিটাল প্রোডাক্ট হল স্পর্শ করা যায় না এমন কোনো সম্পদ বা মাধ্যম যা অনলাইনে বিক্রয় এবং বিতরণ করার জন্য কোনো ফিজিক্যাল ইনভেন্টরির প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের পণ্যসমূহ ডাউনলোডযোগ্য অথবা প্রবাহযোগ্য কোনো ফরম্যাটের হয়ে থাকে যেমন পিডিএফস, এমপিথ্রি, ভিডিও, সফটওয়্যার, টেমপ্লেট প্রভৃতি আকারে হয়ে থাকে। 


ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রয়ের সাতটি উপকার

ফিজিক্যাল প্রোডাক্টস বিক্রয়ের সাথে ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রির তুলনা করে আমি সাতটি উপকারের কথা তুলে ধরছি। 


সময় বাঁচে: আপনি যখন কোনো ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রি করেন, তখন এগুলো রাখার জন্য কোনো গুদামের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে এগুলো পরিবহন অথবা পৌছানোর জন্যও কোনো হ্যাপা নিতে হয় না। 

আমরা বইয়ের কথা চিন্তা করতে পারি। সাধারণত অনলাইন বুক শপগুলোতে বই অর্ডার করার তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে আমাদের হাতে বই এসে পৌছায়। অথচ, ইবুক অর্ডার করার সাথেসাথে পাওয়া যায়। 


অর্থ সাশ্রয়: পণ্য সংগ্রহ, গুদামজাত করণ এবং ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট শিপিংয় করতে অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু ডিজিটাল প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে এ ধরনের বিষয়গুলো অ্যাভয়েড করতে পারবেন। এতে প্রোডাক্ট ক্রয়ের খরচ কমে আসে। অর্থ সাশ্রয় হয়।


স্ক্যালেবল: ডিজিটাল প্রোডাক্ট হল অসীম সংখ্যায় স্ক্যালেবল। কোনো একটি প্রোডাক্ট দিনে ১০ ইউনিট এবং ১০,০০০ ইউনিট ডেলিভারির জন্য খুব বেশি পার্থক্য হয় না। তবে এক্ষেত্রে কাস্টমার সার্ভিসের জন্য অতিরিক্ত জনশক্তি নিয়োগ দিতে হয় এবং ওয়েবসাইটের অতিরিক্ত ট্রাফিকও ম্যানেজ করতে হয়। 



উচ্চ লাভের মার্জিন: ফিজিক্যাল কেনাকাটা না থাকায় এ ধরনের প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে ভাল রকমের মার্জিন থেকে থাকে। 

অটোমেশন সম্ভাবনা: ডিজিটাল প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেয়ার ক্ষেত্রে সহজে অটোমেশন করা যায়, এতে আপনি আপনার ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ফোকাস দিতে পারবেন। অটোমেশন না থাকলে প্রত্যেকি ধাপের জনবল এবং মনোযোগ দেয়ার ব্যাপারটি আসে। 


নমনীয়তা: ফিজিক্যাল প্রোডাক্টসের ক্ষেত্রে একটি ভুল হলে শোধরানের জন্য বড় রকম হ্যাপা যায়। অনেক সময় ত্রুটিযুক্ত সকল প্রোডাক্ট বিক্রি না করে ধ্বংস করে দিতে হয়। ডিজিটাল প্রোডাক্টসে বিষয়টি ব্যতিক্রম। যে কোনো সময় আপনি নতুন প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারবেন অথবা পরিবর্তন করে বিক্রয় করতে পারবেন। 


সুবিধা: ডিজিটাল প্রোডাক্টসের ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল প্রোডাক্টসের তুলনায় কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। 

যেমন,  ২০১৬ সালে আমি বাংলাদেশে বসেই ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর থেকে সোশাল মিডিয়া ইন পাবলিক রিলেশন নামে একটি সার্টিফিকেট কোর্স করেছিলাম। সরাসরি হলে এ ধরনের কোর্স করা বেশ কষ্টসাধ্য হত। 


ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রয়ের অসুবিধা: 

জীবন পুষ্পশয্যা নয় প্রবাদের মত ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও কিছু অসুবিধা দেখা দেয়। 

প্রতিযোগিতা: ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রয়ের কাজটি ফিজিক্যাল প্রোডাক্টসের তুলনায় যেমন দ্রুত শুরু করা যায়, তেমনিভাবে মার্কেটে এটির প্রতিযোগিতাও বেশ কঠিন। আবার, আপনি যদি কোনো কিছু বিক্রয় করতে চান, তাহলে দেখা যাবে, একই ধরনের পণ্য অন্যরা বিনামূল্যে দিচ্ছে। 

চুরি: অনলাইনে চোরগণ সহজে আপনার প্রোডাক্ট চুরি করতে পারে এবং ডিজিটাল প্রোডাক্টস হিসেবেও রিসেল করতে পারেন। তাই, এ বিষয়ে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। 



২৫টি লাভজনক ডিজিটাল প্রোডাক্টস আইডি যা আপনি অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন


চিন্তায় আছেন, আপনি অনলাইনে কোন ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রি করতে পারবেন? চিন্তার কিছু নেই, আমি ২৫টি লাভজনক ডিজিটাল প্রোডাক্টস আইডিয়া তুলে ধরছি। 

কোর্সেস

ভিডিওস

ইবুকস

লিখিত টেমপ্লেটস (স্ক্রিপ্টস, রিজিউম, ইমেইল ইত্যাদি) 

চেকলিস্টস

স্প্রেডশিটস

ছবি

ফন্ট

আইকন

লোগো

গ্রাফিক

ইনফোগ্রাফিকস

ইলাস্ট্রেশনস

ডিজিটাল আর্ট

এনিমেশন

গ্রাফিক টেমপ্লেটস

ওভারলে

সম্পাদিত প্রিসেটস (ছবি, ভিডিও অথবা অডিওর জন্য) 

অনলাইন ম্যাগাজিন

সফটওয়্যার

অনলাইন টুলস

মেম্বারশিপ সাইটস

অডিও (গান, নমুনা, লুপস, পডকাস্টস) 

পরিকল্পনাকারী

গবেষণা (পরিসংখ্যান, রিপোর্টস) 



অনলাইনে বিক্রয়যোগ্য ৪ ধরনের প্রোডাক্টস


উপরে পাওয়া আইডিয়া থেকে আপনি ধরন আলাদা করতে পারেন। 

আপনি ৪ ধরনের প্রোডাক্টস অনলাইনে বিক্রয় করতে পারবেন। 

শিক্ষামূলক ডিজিটাল প্রোডাক্টস

ডিজিটাল টুলস অ্যান্ড টেমপ্লেটস

লাইসেন্সকৃত ডিজিটাল প্রোডাক্টস

সদস্যপদ 


এ লেখায় এ চার ধরনের প্রোডাক্টসের বিস্তারিত তুলে ধরছি। পাশাপাশি অনুপ্রেরণা পাওয়ার জন্য বাস্তব জীবনের উদাহরণও তুলে ধরা হল। 


১. শিক্ষামূলক ডিজিটাল প্রোডাক্টস

প্রত্যেকে নতুন কিছু শিখতে চায়- এটি হতে পারে টুইটার মার্কেটিং, মনে রাখার কৌশল ইত্যাদি। 

যদি কোনো কিছুর উপর আপনার উৎসাহ থাকে, তাহলে সে বিষয়ের উপর অপরকে আপনি শেখাতেও পারেন।  

যেমন, আপনি অনলাইন থেকে নিতা স্ট্রুসের ভিডিও কোর্স গিটার বাজানোর পদ্ধতি থেকে অনুপ্রেরণা পেতে পারেন। 

২. ডিজিটাল টুলস এবং টেমপ্লেটস

মানুষ সময় বাঁচানোর জন্য অনলাইনে বিভিন্ন টেমপ্লেট খুঁজে। আপনি তাদের জন্য আপনি বিভিন্ন রকম ডিজিটাল টুলস অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন। 

যেমন, প্রিন্ট ম্যাটেরিয়ালস, ওয়েবসাইট কিংবা সোশাল মিডিয়া পোস্টের জন্য গ্রাফিক ডিজাইন টেমপ্লেটস বিক্রয় করতে পারেন। 


৩. লাইসেন্সকৃত ডিজিটাল প্রোডাক্টস

অনেক উদ্যোক্তা লাইসেন্সকৃত ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রি করে থাকেন। যার কমন কিছু উদাহরণ হল: 

মিউজিক লুপস

সাউন্ড ইফেক্টস

স্টক ভিডিওস এবং ফটোস


৪. সদস্যপদ

অনেক উদ্যোক্তা চলমান সদস্যপদ বিক্রয় করে থাকে, যে সদস্যপদ ব্যবহার করে অনেক ব্যবহারকারী এক্সক্লুসিভ অফার পায়। এ ধরনের সদস্যপদ থাকার বেশ কিছু আছে।  সাধারণত কোনো প্লাটফর্মে কোনো একটি পণ্যের দাম ২ ডলার হলে মাসে ১০ ডলার পে করে আনলিমিটেড পণ্য কেনা যায়। 



অনলাইনে কিভাবে ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রি করবেন? 


মাথায় রাখবেন, ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট- শুধু তৈরি করলেই হয় না, বিক্রয়ও করতে হয়। অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করতে পারার আটটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হল।  

১. ব্রেইনস্টর্মিং অ্যান্ড রিসার্চ আইডিয়াস


ব্রেইনস্টর্মিংয়ের শুরুতে আপনি এক টুকরো কাগজ এবং কলম নিন। এ পর্যন্ত যে কয়টি ডিজিটাল পণ্য নিয়ে চিন্তা করেছেন, তা লিখুন। ব্রেইনস্টর্মিংয়ের পর্যায়ে কোনো আইডিয়া গোছানোর জন্য অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না এবং আপনার  আইডিয়া যেন জটিল না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। আরেকটি বিষয় মাথায় রাখবেন, প্রথমদিকে আপনি কোনো একটি ডিজিটাল পণ্য তৈরি করার জন্য আপনি বিশেষজ্ঞ হবেন না। আপনি শুধুমাত্র  ভ্যালু অ্যাড করতে চাচ্ছেন। 


এবার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন

আপনার এমন কি কি জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে যা দিয়ে অপরকে শেখাতে পারবেন? 

আপনার আগ্রহের জায়গাসমূহ কি কি, যে বিষয়ে কথা বলতে দিলে আপনি সারাদিন কথা বলতে পারবেন? 

আপনার কোনো ব্যবসা থেকে থাকলে সে ব্যবসার ফিজিক্যাল পণ্যকে সাপোর্ট করার জন্য কোন কোন ডিজিটাল পণ্য তৈরি করতে পারেন? 



যেমন, আপনি বিলিয়ার্ড বোর্ড বিক্রয় করে থাকেন, আপনি কি এমন কোনো অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারবেন যা দিয়ে মানুষ তার বিলিয়ার্ড খেলার স্কিল বাড়াতে পারবে। 

আপনি কোন কোন মূল্যবোধ ধারণ করেন? সে মূল্যবোধকে বাস্তব জীবনে বাস্তবায়ন করার জন্য আপনি মানুষকে শেখাতে চান? যেমন, আমি মানুষের ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন। আমি মনে করি, আমাদের দেশের মানুষের আরো বেশি স্কিল থাকা্ উচিত, যা থাকলে বিশ্বদরবারে আমাদের মাথা আরো উঁচু থাকবে, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। 


আপনার ব্রেইনস্টর্মিং শেষ হলে আপনি রিসার্চ করা শুরু করুন। 

এবার আপনার বর্তমান আইডিয়াসমূহ চিহ্নিত করুন এবং দেখুন, এ বিষয়ে অন্যরা অনলাইনে কি বিক্রয় করছে। গুগল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সার্চ করুন। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, রেডিট সাবরেডিটস এবং ইন্ডাস্ট্রির ফোরামে কি তথ্য আছে ঢু মারুন। 

প্রতিটি আইডিয়াকে এক্সপ্লোর করুন। নতুন কোনো আইডিয়া যুক্ত হলে তা নোট করুন। 


সমাধানের জন্য একটি পেইনফুল প্রবলেম খুঁজুন

আপনার যদি আইডিয়ার একটি বড় তালিকা থাকে, আপনি এবার আইডিয়াসমূহকে মূল্যায়ন করা শুরু করুন। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি সমস্যা নিয়ে সযত্নে চিন্তা করুন যেমন প্রতিটি প্রবলেম সমাধান করা যায়।  পেইনফুল প্রবলেমের র‌্যাংক করুন। 

উদাহরণ, আপনি বাড়িতে কোনো ব্যায়ামের সরঞ্জাম ছাড়াই নিজেকে ফিট রাখার কৌশল নিয়ে একটি কোর্সের পরিকল্পনা করছেন, যে কোর্স করলে মানুষ যেভাবে সুবিধা পেতে পারে। 

এক. তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। 

দুই. আত্মবিশ্বাস বাড়

তিন. জিমের ইনস্ট্রাক্টরকে দেয়া সময় এবং অর্থ বাঁচবে। 

পাশাপাশি পেইনফুল প্রবলেমগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন। 


৩. নিশ নিশ্চিত করুন এবং একটি মার্কেটকে টার্গেট করুন


মাথায় রাখুন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভাল নতুন পণ্য নিয়ে আপনি মাঠে নামলেও মার্কেট ধরেতে সময় লাগবে। সে তুলনায় মার্কেটে চাহিদা আছে, কিন্তু সে ধরনের কোনো ডিজিটাল প্রোডাক্ট না থাকলে কম সময়ে মার্কেট ধরতে পারবেন। 

একসাথে অনেক বিষয় নিয়ে কাজ না করে, একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করুন। 


৪. আপনার আইডিয়া ভ্যালিডেট করুন 

আপনি কিন্তু ডিজিটাল প্রোডাক্টস নিয়ে কাজ করছেন। তাই, আশেপাশের বন্ধুর কাছ থেকে পরামর্শ না নিয়ে অনলাইন থেকে চাহিদা নিন। 

গুগলেল কিওয়ার্ড প্ল্যানারের মাধ্যমে জানতে পারবেন,  কোন কিওয়ার্ডের উপর মানুষ কি পরিমাণ গুগলে সার্চ দিয়ে থাকে। অন্যদিকে গুগল ট্রেন্ডস থেকে জানা যায়, বছরের কোন সময়ে কোন জিনিসের ভাল চাহিদা থেকে থাকে। 


৫. আপনার ডিজিটাল প্রোডাক্টস অনলাইনে বিক্রয় করুন

আপনি যদি একটি উইনিং আইডিয়া পেয়ে যান, আপনার ডিজিটাল পণ্য তৈরি করার সময় এখন-ই। যদি এখনো আইডিয়া না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে একটি ফরম্যাট পছন্দ করতে হবে। 

সবসময় চেষ্টা করবেন, এ ফরম্যাট যেন সিম্পল হয়। আপনি আপনার ডিজিটাল দক্ষতা ধাপেধাপে ইমপ্রুভ করতে পারেন। আবার, আপনার কাস্টমারের নিড এবং প্রত্যাশা অনুসারে নিজের স্কিল ইম্প্রুভ করতে পারেন। 

আপনি কোনো ভিডিও কোর্স অফার করতে চাইলে প্রথম একটি বা দুইটি লেসন বিনামূল্যে দিতে পারেন। 


৬. একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করুন 

অনলাইন স্টোর তৈরির খরচ নিয়ে ভাবছেন? প্রথমে নিজেই আলাদা ওয়েবসাইট না করেন সফিপাই বা এরকম কোসো প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। এ স্টোরের মাসিক চার্জ মাত্র ৩৯ ডলার। 


৭. ট্রাফিক নিয়ে আসুন


আপনি সবকিছু সেটআপ করে ফেলেছেন, এখন আপনার বিক্রি করার সময়। নিচে ৭ ধরনের ইন্টারনেট মার্কেটিং তুলে ধরা হল যা ব্যবহার করে আপনি আপনার বিক্রয় জেনারেট করতে পারেবেন। 


পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট: গুগল অ্যাডস এবং ফেসবুক অ্যাডসের মত অ্যাডভার্টাইজেমন্ট প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। 


সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং: সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার টার্গেট মার্কেটের কাছে পৌছাতে কনটেন্ট শেয়ার করুন এবং তাদেরকে এনগেজ করুন। 


ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং: আপনার মার্কেটের সাথে কাজ করে এমন ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে পার্টনারশিপ করুন এবং তাদের অডিয়েন্সের কাছে পৌছানোর চেষ্টা করুন। 


কনটেন্ট মার্কেটিং:  এমন কনটেন্ট তৈরি এবং শেয়ার করুন যা ব্যবহার করে মানুষকে আকৃষ্ট করা থেকে শুরু করে কাস্টমার হিসেবেও কনভার্ট করা যায়। 


সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন: আপনার ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করুন যেন আপনার কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে দেখানো হয়। সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক উপরে নিয়ে আসুন যেন ভাল কোয়ালিফাইড লিড আসে।

 

ইমেইল মার্কেটিং: সম্ভাব্য কাস্টমারদের কন্টাক্ট তথ্য সংগ্রহ করুন এবং তাদের নার্চার করুন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: থার্ড পার্টির মার্কেটারদের ইনসেনটিভ দিন যেন তারা যেন একটি ফি বা কমিশনের বিনিময়ে আপনার অফার প্রমোট করে। 


এভাবে আপনি ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি এবং বিক্রয় করতে পারবেন।





POST A COMMENT

To comment in this Blog, SignIn with Google

OTHER POSTS OF পরামর্শ CATEGORY

দিনে সাতটি কাজ কার্যকরভাবে করার উপায়

10 Min read

Friday, February 2nd 2024

দিনে সাতটি কাজ কার্যকরভাবে করার উপায়

কখন থেকে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করবেন

10 Min read

Saturday, January 27th 2024

কখন থেকে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করবেন

সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি নেয়ার ১১ ধাপ

10 min read

Saturday, January 20th 2024

সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি নেয়ার ১১ ধাপ

ক্যারিয়ার উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করুন

10 Min read

Saturday, January 6th 2024

ক্যারিয়ার উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করুন

শিক্ষার্থীদের জন্য আত্মউন্নয়নমূলক ১০ বই

10 Min read

Friday, December 22nd 2023

শিক্ষার্থীদের জন্য আত্মউন্নয়নমূলক ১০ বই

ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রয়োজনীয় পাঁচ গ্যাজেট

5 Min read

Saturday, December 16th 2023

ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রয়োজনীয় পাঁচ গ্যাজেট