Home পরামর্শ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ১১ রকমের পার্টটাইম জব

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ১১ রকমের পার্টটাইম জব

5 Min read

Friday, March 17th 2023



বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ১১ রকমের পার্টটাইম জব

একটা সময় শিক্ষার্থীরা মনে করতেন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের খন্ডকালীন চাকরি বলতে টিউশনকেই বুঝানো হত। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো চাকরি নেই। বর্তমানে তথ্যপ্রযু্ক্তির কল্যাণে শিক্ষার্থীদের জন্য নানা রকম আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা পছন্দমত সময়ে এসব কাজে সময় দিয়ে আয় করতে পারেন। ক্ষেত্রবিশেষ টিউশনের আয়ের তুলনায় এ আয় অনেক বেশি হয়ে থাকে।

এ লেখায় এমন কয়েকটি পার্ট টাইম জবের কথা তুলে ধরা হল: 

গ্রাফিক ডিজাইনার

ভিডিও এডিটর

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

কনটেন্ট রাইটার

অফলাইন/অনলাইন শিক্ষক

ফটোগ্রাফার

ইউটিউবার

ডাটা এন্ট্রি অপারেটর

অনুবাদক 

রাইডার

ফুড ডেলিভারি ম্যান 



গ্রাফিক ডিজাইনার: এ সময় মানুষ বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেয়ার চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘপোস্ট পড়ার চেয়ে সুন্দর গ্রাফিক বিশিষ্ট পোস্ট পড়তে ব্যবহারকারীগণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন। সময়ের সাথে সাথে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক ডিজাইনারের চাহিদা তৈরি হয়েছে। ক্লায়েন্টের কাছ থেকে সামাজিক মাধ্যমে যে পোস্ট করা হবে তার বিষয়বস্তু জেনে আপনি তৈরি করে দিতে পারেন ক্লায়েন্টের জন্য পছন্দসেই গ্রাফিক। আপনি যদি এডোবি ফটোশপ এবং ইলাসট্রেটরে অভ্যস্ত হন, তাহলে কমসময়ে এ কাজ করে দিতে পারবেন। এ কাজের জন্য ক্লায়েন্টের সাথে পোস্টভিত্তিক বা মাসিক চুক্তিতেও আসতে পারেন। 

ভিডিও এডিটর: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কনটেন্টের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ভিডিও। ফেসবুক এবং ইউটিউবের ব্যবহারকারীদের অধিকাংশ-ই টেক্সটভিত্তিক পোস্ট পড়ার চেয়ে ভিডিও দেখার পেছনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। আপনি এডোবি প্রিমিয়ার প্রো শিখে ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ হাতে নিতে পারেন। এ কাজের জন্যও ক্লায়েন্টের সাথে ভিডিও অনুসারে অথবা মাস হিসেবেও চুক্তিতে আসতে পারেন। 

সোশাল মিডিয়া ম্যানেজার: সোশাল মিডিয়া চালানোর বিষয়টি শুধু শহরেই সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে-লোকালয়ে। সেখানকার প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সোশাল মিডিয়া ম্যানেজার রেখে থাকে। সোশাল মিডিয়ায় কি ধরনের পোস্ট যাবে, কি ধরনের ভিডিও যাবে, গ্রাফিক কি ধরনের যেতে পারে, পেইজে কি ধরনের কমেন্ট আসছে, তার রিপ্লাই কি হতে পারে, মেসেজে কে কি চাচ্ছে- এ ধরনের বিষয়গুলো সোশাল মিডিয়া ম্যানেজারেরা সাধারণত দেখে থাকে। ক্ষেত্রবিশেষ সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেয়ার বিষয়টিও সোশাল মিডিয়া ম্যানেজারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। 

কনটেন্ট রাইটার: আমরা কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে সাধারণত অনলাইনে সার্চ দিয়ে থাকি। অনলাইন থেকে বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার কাজটি হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে সবচেয়ে বেশি কাজ করে থাকে বিষয়ভিত্তিক লেখকেরা। যেমন: কোনো প্রতিষ্ঠান যদি স্টিল উৎপাদন করে থাকে, তাহলে তাকে বিলবোর্ড, টিভিতে বিজ্ঞাপন দেয়ার পাশাপাশি ব্লগ কনটেন্টও রাখতে হয়। এসব লেখায় বিষয়ভিত্তিক ব্লগ থাকলে অনলাইন কমিউনিটিতে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়। অনেক ব্যক্তি শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্লগ লিখে বেশ ভাল অঙ্কের টাকা আয় করে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাদের অবসর সময়ে বিষয়ভিত্তিক ব্লগ লিখতে পারেন। বর্তমানে ইংরেজি কনটেন্টের পাশাপাশি বাংলা কনটেন্টেরও বেশ ভাল চাহিদা রয়েছে। 

ফটোগ্রাফার: আপনি যদি ক্যামেরায় আগ্রহী হন এবং আপনার ফটো এডিটিং স্কিল থাকে, তাহলে আপনি ফটোগ্রাফি করতে পারেন। বিভিন্ন অফিসিয়াল প্রোগ্রামের ফটোগ্রাফি, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করতে পারেন। আবার অনলাইনে কিছু স্টক ফটোগ্রাফির ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনার ছবি সাবমিট করতে পারেন। সেখান থেকে ব্যবহারকারীরা আপনার ফটো কিনলে আপনার অ্যাকাউন্টে একটি আয় যোগ হতে পারে। 

ইউটিউবার: আপনার পছন্দের বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ আওয়ারের শর্তপূরণ করতে পারলে আপনি এ মাধ্যম থেকেও আয় করতে পারেন। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সময় সবসময় আপনাকে ভিডিও করতে হবে- এমন নয়। আপনি স্টিল ছবি দিয়ে, বিভিন্ন ফুটেজ সংগ্রহ করে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এ কাজটি করার সময় আপনাকে কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি আপনার চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ মাধ্যমে সাফল্য রাতারাতি আসবে না। 

ডাটা এনট্রি অপারেটর: বর্তমান সময়ে অনলাইন ভিত্তিক কাজ করতে হলে প্রয়োজন হয় ডাটার। আবার অফলাইনের ডাটা অনলাইনে নিতে না পারলে অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগগুলো সেভাবে কাজ করে না। এজন্য ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রচুর ডাটা এনট্রি দিতে হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন চাকরিরও ব্যবস্থা রয়েছে। 

অনুবাদক: ডাটা এনট্রি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ভাষায় দক্ষ হলে হয়। কিন্তু অনুবাদের জন্য দুইটি ভাষায়-ই দক্ষ হতে হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় প্রতিষ্ঠানে অনুবাদকের প্রয়োজন হয়। 

রাইডার: আপনার যদি একটি মোটর সাইকেল, সিএনজি কিংবা গাড়ি থেকে থাকে, তাহলে আপনি রাইড শেয়ার করেও আপনি আয় করতে পারেন। বিভিন্ন শহরে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসসময়ের পরে রাইড শেয়ার করে থাকে। 

ফুড ডেলিভারিম্যান: অনলাইনভিত্তিক ফুড ডেলিভারি কোম্পানির জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়ছে। জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে এ সব প্রতিষ্ঠানের দরকার হচ্ছে ফুড ডেলিভারিম্যানের সংখ্যা বাড়ানোর। আপনার যদি সাইকেল বা মোটরসাইকেল থেকে থাকে, তাহলে আপনিও ফুড ডেলিভারিম্যান হতে পারেন। 




POST A COMMENT

To comment in this Blog, SignIn with Google

OTHER POSTS OF পরামর্শ CATEGORY

দিনে সাতটি কাজ কার্যকরভাবে করার উপায়

10 Min read

Friday, February 2nd 2024

দিনে সাতটি কাজ কার্যকরভাবে করার উপায়

কখন থেকে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করবেন

10 Min read

Saturday, January 27th 2024

কখন থেকে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করবেন

সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি নেয়ার ১১ ধাপ

10 min read

Saturday, January 20th 2024

সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি নেয়ার ১১ ধাপ

ক্যারিয়ার উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করুন

10 Min read

Saturday, January 6th 2024

ক্যারিয়ার উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করুন

শিক্ষার্থীদের জন্য আত্মউন্নয়নমূলক ১০ বই

10 Min read

Friday, December 22nd 2023

শিক্ষার্থীদের জন্য আত্মউন্নয়নমূলক ১০ বই

ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রয়োজনীয় পাঁচ গ্যাজেট

5 Min read

Saturday, December 16th 2023

ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রয়োজনীয় পাঁচ গ্যাজেট