হয়ে উঠুন সফল ইউটিউবার
BY
Nadim Majid
ইউটিউব বিনোদন জগতের অন্যতম সেরা মাধ্যম। দেশের অনেকেই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচুর
আয় করছেন। অনেকে আবার তাদের মূল কাজের পাশাপাশি ইউটিউবকে নিয়েছেন অতিরিক্ত আয়ের মাধ্যম
হিসেবে। ইউটিউবে সফল হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস তুলে ধরেছেন নাদিম মজিদ
একসময় ইউটিউবে সবাই ঢু মারত গান, নাটক ও সিনেমা দেখার জন্য। কানে হেডফোন লাগিয়ে
শুনত গান। মোবাইলের ছোট্ট স্ক্রিনে দেখত নাটক ও সিনেমা। বর্তমানে সময় বদলেছে। শুধু
নাটক, সিনেমার মাধ্যম হিসেবে নয়, বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স, টিউটোরিয়াল এবং সংবাদের জন্য
এ মাধ্যম আমাদের কাছে পরিচিত হয়ে আসছে।
ইউটিউবার কারা
যারা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের অডিয়েন্সদের কিছু জানাতে চান, কিছু দেখাতে
চান, তাদের ইউটিউবার বলা হয়ে থাকে। ইউটিউবের মাধ্যমে অর্থাপর্জন কিন্তু সব চ্যানেলের
উদ্দেশ্য নয়। অনেক ধর্মীয় চ্যানেল দেখতে পাবেন, তারা তাদের চ্যানেলে কোনো বিজ্ঞাপন
দেখায় না।
আপনি কেন ইউটিউবার হবেন
সবাইকে ইউটিউবার হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আপনি কয়েকটি কারণে ইউটিউবার হতে
পারেন।
এক. নিজেকে বিশ্বমন্ডলে পৌছে দেয়া: ইউটিউব চ্যানেলে বিশ্বজনীন। বাংলাদেশে যে
নাটক আপলোড দেয়া হয়, তা চাইলে দেখতে পারেন দক্ষিণ আমেররিকার আর্জেন্টিনা। এখানে আপনার
নিজের স্কিল দেখাতে পারবেন, বিশ্বের যে কাউকে।
দুই. অর্থ উপার্জন করা: আপনি এমএস এক্সেল ভাল জানেন। আপনি চাইলে আপনার এ স্কিল
টিউটোরিয়াল হিসেবে তৈরি করে ইউটিউবে ধারাবাহিকভাবে দিতে পারেন।
আবার, আপনি অনলাইনে গেইম খেলতে পছন্দ করেন। আপনি খেলার ভিডিও তৈরি এবং সাউন্ড
দিয়ে সুন্দর ভিডিও তৈরি করে প্রকাশ করতে পারেন। তারপর আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশনের
উপযোগী হলে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন।
তিন. অডিয়েন্স তৈরি করা: আপনি ভাল আর্ট করতে পারেন। আপনি চান, অনলাইনে আপনার
আর্টের কোর্স বিক্রয় করতে। শুরুতে অডিয়েন্স তৈরি করার জন্য কিছু ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে
দিতে পারেন। এখান থেকে জানতে পারেন, আপনার কোর্সের প্রতি সাধারণের আগ্রহ কেমন। কারা
কি ধরনের কনটেন্ট চায়।
চার. তথ্য দেয়া: মানুষের এমন অনেক তথ্য প্রয়োজন, যা সহজে ইউটিউবে পাওয়া যায়
না। আপনার হাতের কাছে থাকা তথ্যসমূহকে ভিডিও আকারে রূপান্তর করে ইউটিউবে দিতে পারেন,
এতে মানুষ যেমন তথ্য পাবেন, পাশাপাশি আপনার চ্যানেলের পরিচিতিও বাড়বে।
ইউটিউবার হতে প্রয়োজন
এতক্ষণে জেনে গেছেন, আপনার কেন ইউটিউবার হওয়া প্রয়োজন! আপনি চিন্তা করলেন,
ইউটিউবার হওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় প্যাশন এবং সময় রয়েছে। তাহলে ইউটিউবার হিসেবে
সফল হতে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
এক. চ্যানেলের লক্ষ্য ঠিক করা: আপনি আপনার নামে একটি চ্যানেল খুললেন, তারপর
এ চ্যানেলে আপনার বাড়ির সামনের ভাঙ্গা রাস্তার খবর দিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের খবর
দিলেন, পাশের বাসার বিয়ের খবর দিলেন- তাহলে কিন্তু হবে না। আপনাকে ঠিক করতে হবে, আপনার
দক্ষতা কোথায় এবং এ চ্যানেলকে মানুষ কি হিসেবে চিনবে!
দুই. চ্যানেলের নাম ঠিক করা: আপনার লক্ষ্য অনুসারে চ্যানেলের সুন্দর একটি নাম
ঠিক করুন। এমন একটি নাম ঠিক করুন, যা মানুষ সহজে মনে রাখতে পারে।
তিন. চ্যানেল তৈরি করুন: আপনার পছন্দ করা নাম অনুসারে চ্যানেল তৈরি করুন। চ্যানেল
তৈরি করার সময়-ই লোগো এবং ব্যানার তৈরি করে নিন।
চার. স্ক্রিপ্ট তৈরি করুন: আপনি আপনার চ্যানেলে যে ভিডিও দিতে চান, তার জন্য
স্ক্রিপ্ট তৈরি করুন। সে স্ক্রিপ্ট অনুসারে ভিডিও শুট করুন। ভয়েসওভার দিন। প্রয়োজন
অনুসারে নিজের স্টুডিওতে বসে ভয়েসওভার দিন।
পাঁচ. প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করুন: সবসময় ফুটেজ নেয়ার সব অংশ-ই কাজে লাগবে এমন
নয়। প্রিয়োজনীয় সম্পাদনা করুন। ক্যাপশন দিন।
ছয়. টাইটেল, বর্ণনা, থাম্বনেইল, ট্যাগ নিশ্চিত করুন: ভিডিওর টাইটেল এবং থাম্বনেইল দেখে অনেকে ভিডিও দেখতে আসে। তাই, এসব দেয়ার সময়ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করুন। বর্ণনা ও ট্যাগ দেয়ার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। একটু সময় নিয়ে লিখুন। কারণ, ইউটিউবে সার্চ করার মাধ্যমে যে ভিডিও আসে, তাতে টাইটেল, বর্ণনা ও ট্যাগও ভাল ভূমিকা রাখে।
সাত. প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: আপনার চ্যানেল আপনার ডিজিটাল এসেট।
এ এসেটের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করুন। যেমন, সংশ্লিষ্ট জিমেইলের পাসওয়ার্ড কাউকে দিবেন
না। প্রয়োজনে এডিটর একসেস দিন। টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন নিশ্চিত করুন।
আট. অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমকে কাজে লাগান: খেয়াল করে দেখবেন, ফেসবুকের ওয়াচ
এবং রিলে ছোট ছোট টুকরা ভিডিও থাকে। এসব ভিডিও’র প্রচুর ভিউ হয়। অনেকে জানতে চায়, এটার
মূল নাটকের নাম কি? ইউটিউবের লিংক হবে কিনা। এখান থেকেও কিন্তু আপনার চ্যানেলের অডিয়েন্স
পাবেন।
নয়. ওয়েবসাইটও তৈরি করুন: ইউটিউবার হিসেবে সফল হতে চাইলে ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্টও
একটি ভাল ভূমিকা রাখে। খেয়ার করলে দেখবেন, অনেক ভিডিওর শুরুতে বা মাঝখানে বিজ্ঞাপন
আসে, এসব বিজ্ঞাপন পুরোটাই দেখতে হয়, স্কিপ করা যায় না। এ সব বিজ্ঞাপনের জন্য চ্যানেলগুলো
বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে আলাদা যোগাযোগ করে।
আপনার চ্যানেলের একটি ওয়েবসাইট হলে চ্যানেল সম্পর্কে তুলে ধরা সহজ হয়। আপনার
সাথে যে কেউ সহজে যোগাযোগ করতে পারে। সেটা কনটেন্টের জন্য হতে পারে, আবার বিজ্ঞাপনের
জন্যও হতে পারে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় খেয়াল রাখুন, এ ওয়েবসাইট যেন ডায়নামিক হয়। এক্ষেত্রে
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা সফটওয়্যার কোম্পানি বাংলা পাজেল লিমিটেডের সেবা নিতে পারেন।
ঠিকানা: বাংলা পাজেল লিমিটেড
ঢাকা অফিস: বাসা: ১৩/৩, রোড: ২
শ্যামলী, ঢাকা- ১২০৭
চট্টগ্রাম অফিস: সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (১০ তলা)
আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম
০১৮৮০৮১১০৪৭, ০১৮৮০৮১১০৪৮
দশ. আয়ের বিভিন্ন মাধ্যম সম্পর্কে ধারণা রাখুন: ইউটিউবে শুধুমাত্র অ্যাডের
মাধ্যমেই আয় করা যায়, এমন নয়। ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্টের মাধ্যমে আয় করা যায়। এফিলিয়েট
মার্কেটিংয়ের মাধ্যমেও আয় করা যায়। এসব নিয়েও খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনীয় পড়াশুনা করুন।
POST A COMMENT
OTHER POSTS OF পরামর্শ CATEGORY
Copyright © 2023
By Bangla Puzzle Limited
To comment in this Blog, SignIn with Google