Home পরামর্শ

জনপ্রিয়তা পাবে এআইয়ের যে ১০ চাকরি

জনপ্রিয়তা পাবে এআইয়ের যে ১০ চাকরি

6 Min read

Friday, May 19th 2023



আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেমন আমাদের জব সেক্টরের কিছু পদে হুমকি তৈরি করছে, আবার কিছু নতুন পদও তৈরি করছে। এ লেখায় থাকছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে তৈরি হওয়া ১০টি পদের বর্ণনা। লিখেছেন নাদিম মজিদ

কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো এআই ব্যবহার করে আসছে। তবে এসব ব্যবহার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্যায়ে থাকায় এআইয়ের হুমকি সম্পর্কে আমাদের জানা ছিল না। চ্যাটজিপিটির কল্যাণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের শক্তিশালী কিছু ব্যহার আমরা দেখতে পাচ্ছি। তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে জানাশোনা ব্যক্তি, যাঁরা পূর্বে আটিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে ঠিক সেভাবে গোনায় ধরতেন না, তাঁরাও এখন গোনায় ধরছেন। নিজেকে সে অনুসারে আপডেট রাখার জন্য ভাবনাচিন্তা করছেন। 

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বে চাকরির বাজারে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে যাবে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) এক সমীক্ষায় বলেছেএ সময়ে বিশ্বের ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ চাকরি হারাবেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব কাজ চালাবে বলে এ আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছেবিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করে এআই প্রযুক্তি চালুর দিকেই যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস করপোরেশন বা আইবিএম সেই পথেই হাঁটছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। আগামী কয়েক বছরে ৭ হাজার ৮০০ কর্মী ছাঁটাই করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন আইবিএমের প্রধান নির্বাহী (সিইও) অরবিন্দ কৃষ্ণা।

 আবার এর ইতিবাচক দিকও আছে। এআই আসার কারণে নতুন নতুন অনেক চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে। আবার কিছু নিরাপদ চাকরি আছেযেখানে এআই তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না।

আগামী পাঁচ বছরে দ্রুত বেড়ে যাওয়া ১০ চাকরির মধ্যে আছে—

১. এআই ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ

২. সাসটেইনেবিলিটি স্পেশালিস্ট

৩. বিজনেস ইন্টেলিজেন্স অ্যানালিস্ট: 

৪. ইনফরমেশন সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট:

৫. ফিনটেক ইঞ্জিনিয়ার:
৬. ডেটা অ্যানালিস্ট ও বিজ্ঞানী: 
৭. রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ার:
৮. ইলেকট্রোটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার

 ৯. অ্যাগ্রিকালচারাল ইকুইপমেন্ট অপারেটর: 
 ১০. ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্পেশালিস্ট:

এ পদসমূহের কিছু ধারণা নিচে তুলে ধরা হল- 

 ১. এআই ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেমন কিছু কিছু মানুষের চাকরি খাবে, আবার তাদেরকে মানুষের উপযোগী কাজ করানোর জন্য প্রয়োজন হবে এআই ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞের। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিশেষজ্ঞের চাহিদা বাড়বে।

 ২. সাসটেইনেবিলিটি স্পেশালিস্ট: তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় সবকিছু রাতারাতি পরিবর্তিত হচ্ছে। এখন যে নিয়ে কাজ করছি, দুদিন বাদেই তা হয়ে যাবে মান্ধাতার আমলের। আবার একটি কাজ করতে গিয়ে সেটি অন্য কোনো কাজের ক্ষতি করছে কি না, তা-ও জানতে হবে। এ বিষয়ে ঠিকমতো পরিচালনার জন্য সাসটেইনেবিলিটি স্পেশালিস্টদের কদর বাড়বে।

 ৩. বিজনেস ইন্টেলিজেন্স অ্যানালিস্ট: ভবিষ্যতে একটি বিজনেস ঠিকমতো চলছে কি না, কোথায় কোথায় খামতি রয়েছে, কোথায় কোথায় উন্নতি করতে হবে, এ ধরনের তথ্য নেওয়ার জন্য দিনের পর দিন সময় নিতে হবে কোনো অ্যানালিস্টের। তারা সফটওয়্যার ব্যবহার করেই অল্প সময়েই যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবে। এ কাজটি করবে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স অ্যানালিস্ট

 ৪. ইনফরমেশন সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট: তথ্য যত অবাধ হচ্ছে, তত যথেচ্ছ ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। এতে যেমন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নানাবিধ অসুবিধাও। এ ধরনের অসুবিধা এড়ানোর জন্য বিপুল চাহিদা তৈরি হবে ইনফরমেশন সিকিউরিটি অ্যানালিস্টদের।

 ৫. ফিনটেক ইঞ্জিনিয়ার: ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে উঠছে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। অর্থনৈতিক লেনদেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এ কার্যক্রমকে অনলাইনভিত্তিক কাজে আরও গতিশীল ও নিরাপদ করতে চাহিদা বাড়বে ফিনটেক ইঞ্জিনিয়ারদের।

 ৬. ডেটা অ্যানালিস্ট ও বিজ্ঞানী: বলা হয়, তথ্যই শক্তি। তথ্য না থাকলে অপরজনের সাথে ঠিকমতো কথা বলা যায় না। তাই ডেটা অ্যানালিস্ট ও বিজ্ঞানীদের চাহিদা অদূর ভবিষ্যতে বাড়তেই থাকবে।

 ৭. রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ার: মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে সৃষ্টি হওয়া জটিল কাজগুলোতে রোবটের অংশগ্রহণ তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ বিপুল গতিতে বাড়বে। ঘর পরিষ্কার করার কাজও একটা সময় ছেড়ে দেওয়া হবে রোবটের হাতে। তাই রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ বাড়তেই থাকবে।

৮. ইলেকট্রোটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার: ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক কাজগুলো পরিচালনার কাজ করে ইলেকট্রোটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়াররা।

 ৯. অ্যাগ্রিকালচারাল ইকুইপমেন্ট অপারেটর: কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। মেশিন দিয়ে জমির পরিচর্যা, কীটনাশক ছিটানো, ধান কাটা এবং ধান মাড়ানোর চল আমাদের দেশেও আছে। ভবিষ্যতে কৃষির সব সেক্টরেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কাজ করবে। চাহিদা বাড়বে অ্যাগ্রিকালচারাল ইকুইপমেন্ট অপারেটরের।

 ১০. ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্পেশালিস্ট: মান্ধাতার আমলের কাজ থেকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় কোনো প্রতিষ্ঠানকে রূপান্তর করতেও বেশ কাঠখড় পোহাতে হয়। এ কাজগুলো সুন্দরভাবে করার জন্য ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্পেশালিস্টের প্রয়োজন হবে।




POST A COMMENT

To comment in this Blog, SignIn with Google

OTHER POSTS OF পরামর্শ CATEGORY

দিনে সাতটি কাজ কার্যকরভাবে করার উপায়

10 Min read

Friday, February 2nd 2024

দিনে সাতটি কাজ কার্যকরভাবে করার উপায়

কখন থেকে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করবেন

10 Min read

Saturday, January 27th 2024

কখন থেকে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করবেন

সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি নেয়ার ১১ ধাপ

10 min read

Saturday, January 20th 2024

সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি নেয়ার ১১ ধাপ

ক্যারিয়ার উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করুন

10 Min read

Saturday, January 6th 2024

ক্যারিয়ার উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করুন

শিক্ষার্থীদের জন্য আত্মউন্নয়নমূলক ১০ বই

10 Min read

Friday, December 22nd 2023

শিক্ষার্থীদের জন্য আত্মউন্নয়নমূলক ১০ বই

ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রয়োজনীয় পাঁচ গ্যাজেট

5 Min read

Saturday, December 16th 2023

ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রয়োজনীয় পাঁচ গ্যাজেট